top of page
Search

ভারতে অক্সিজেনের অভাবে গাছতলায় আশ্রয় নিচ্ছে রোগীরা

  • Writer: SHAKIL SARDAR
    SHAKIL SARDAR
  • May 19, 2021
  • 2 min read

ছবি: সংগৃহীত


ভারতে করোনা মহামারি এতটাই ভয়াবহ যে সকল রোগীকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অবশ্য শহরের ও ধনী ঘরের রোগীরা কিছুটা হলেও চিকিৎসা পাচ্ছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের গরীব লোকেরা তাও পাচ্ছে না। এমনকি আশপাশে কোথাও হাসপাতালও নেই। যদিওবা দুই-একটা পাওয়া যায়, কিন্তু সেগুলোতে করোনা চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। এমতাবস্থায় অনেক জায়গায় অক্সিজেনের জন্য রোগীরা গাছের তলায় আশ্রয় নিচ্ছে।

আজ সোমবার (১৭ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রাম মেওলা গোপালগড়। সেখানে কারো শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে গাছতলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মূলত অক্সিজেনের জন্যই এ ব্যবস্থা।


ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাছতলায় রোগীদের জন্য মেডিসিন বলতে কেবল গ্লুকোজের পানি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা আছে। আর তাদের শোয়ার জন্য খাটিয়া পাতা হয়েছে। চারপাশে গরু বাধা। নেই অন্য কোনো ওষুধ। এমনকি তাদের সেবা দেওয়ার জন্য নার্স কিংবা চিকিৎসক পর্যন্ত নেই।

জানা গেছে, অঞ্চলটিতে একটি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত বেড নেই। আবার বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ গ্রামের লোকদের নেই। তাই বিকল্প এই ব্যবস্থা। সেখানে করোনা টেস্ট করানোরও ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। তাই যাদের শরীরে ভাইরাসটির উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তাদেরকে গাছতলায় এনে রাখা হচ্ছে।

সম্প্রতি ওই গ্রামের ৭৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তার ছেলে সঞ্জয় সিং জানান, যখন মানুষের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় তখন তারা অক্সিজেন লেভেল সমান করার জন্য গাছতলায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। মানুষ মারা যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের দেখার কেউ নেই।

এদিকে, মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক কমেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতের স্বাস্থ্য-মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৪১০৬। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৪১ জন, যা আগের দিনের তুলনায় বেশি।

সংগৃহীত





 
 
 

Comments


bottom of page