top of page
Search

সিঙ্গাপুরে ভারতীয় ধরনের মতো নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় চলতি সপ্তাহ থেকে রাজধানী সিঙ্গাপুর সিটির বেশিরভাগ স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, ভারতীয় ধরনের মতো করোনাভাইরাসে নতুন ধরনে ছড়িয়ে পড়েছে সিঙ্গাপুরে। ভাইরাসটি কোমলমতি শিশুদেরও আক্রান্ত করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী চ্যান চুন সিং।

দেশটির শিক্ষামন্ত্রী চ্যান চুন সিং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কিছু কিছু ধরন বেশি মারাত্মক এবং তারা ছোট ছোট শিশুদেরকেও আক্রান্ত করছে। তবে আক্রান্ত শিশুদের কেউই গুরুতর অসুস্থ নয় এবং তাদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ দেখা গেছে।

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওং ইয়ে কুঙ্গ বলেছেন, করোনাভাইরাসের বি১৬১৭ স্ট্রেইনটি শিশুদেরকে বেশি সংক্রমিত করছে। তবে এখন পর্যন্ত ঠিক কতটি শিশু এতে আক্রান্ত হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ব্যাপারে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ১৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত সিঙ্গাপুর সিটির সব ধরনের প্রাইমারি, সেকেন্ডারি এবং জুনিয়র কলেজ বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বাড়ি থেকে পরিচালিত হবে। শুধু তাই নয়, শিশুদেরকেও ভ্যাকসিন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।




 
 
 

আগামী ২৫ মে থেকে দেশে চীনের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ সোমবার (১৭ মে) তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৫ মে থেকে চীনের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হবে। সেই সঙ্গে টিকার বিষয়ে আমরা রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কথা বলছি এবং টিকা আনার চেষ্টা করছি।

গত বুধবার (১২ মে) চীনের দেওয়া উপহারের পাঁচ লাখ সিনোফার্ম টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছায়। এদিন ভোর ৫টার দিকে টিকাবহনকারী বিমান বাহিনীর (এস-৩এজিএফ) ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এ দিকে উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ ডোজ টিকা এলেও চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী টিকা আসতে আরও কিছু দিন সময় লাগতে পারে। সংগৃহীত

 
 
 

ছবি: সংগৃহীত


ভারতে করোনা মহামারি এতটাই ভয়াবহ যে সকল রোগীকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অবশ্য শহরের ও ধনী ঘরের রোগীরা কিছুটা হলেও চিকিৎসা পাচ্ছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের গরীব লোকেরা তাও পাচ্ছে না। এমনকি আশপাশে কোথাও হাসপাতালও নেই। যদিওবা দুই-একটা পাওয়া যায়, কিন্তু সেগুলোতে করোনা চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। এমতাবস্থায় অনেক জায়গায় অক্সিজেনের জন্য রোগীরা গাছের তলায় আশ্রয় নিচ্ছে।

আজ সোমবার (১৭ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রাম মেওলা গোপালগড়। সেখানে কারো শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে গাছতলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মূলত অক্সিজেনের জন্যই এ ব্যবস্থা।


ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাছতলায় রোগীদের জন্য মেডিসিন বলতে কেবল গ্লুকোজের পানি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা আছে। আর তাদের শোয়ার জন্য খাটিয়া পাতা হয়েছে। চারপাশে গরু বাধা। নেই অন্য কোনো ওষুধ। এমনকি তাদের সেবা দেওয়ার জন্য নার্স কিংবা চিকিৎসক পর্যন্ত নেই।

জানা গেছে, অঞ্চলটিতে একটি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত বেড নেই। আবার বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ গ্রামের লোকদের নেই। তাই বিকল্প এই ব্যবস্থা। সেখানে করোনা টেস্ট করানোরও ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। তাই যাদের শরীরে ভাইরাসটির উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তাদেরকে গাছতলায় এনে রাখা হচ্ছে।

সম্প্রতি ওই গ্রামের ৭৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তার ছেলে সঞ্জয় সিং জানান, যখন মানুষের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় তখন তারা অক্সিজেন লেভেল সমান করার জন্য গাছতলায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। মানুষ মারা যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের দেখার কেউ নেই।

এদিকে, মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক কমেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতের স্বাস্থ্য-মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৪১০৬। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৪১ জন, যা আগের দিনের তুলনায় বেশি।

সংগৃহীত





 
 
 
bottom of page