top of page
Search

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে শিশুসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে নেত্রকোনায় আটজন, মানিকগঞ্জে দুইজন এবং ফরিদপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও হবিগঞ্জে একজন করে প্রাণ হারান।


নেত্রকোনা


নেত্রকোনার কেন্দুয়া, খালিয়াজুরী, পূর্বধলা ও মদন উপজেলায় বজ্রপাতে ৭ জন কৃষক ও একজন শিশু নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও নয়জন। মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। মাঠে কাজ করার সময় কৃষকদের মৃত্যু হয়।


নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সি বজ্রপাতে আটজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


বজ্রপাতে নিহত কৃষকেরা হলেন-কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের মো. বায়েজিদ মিয়া (৪২) ও কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুণ্ডলী গ্রামের মো. ফজলুর রহমান (৫৫) এবং খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের খেলু ফকিরের ছেলে কৃষক অছেক মিয়া (৩২), একই গ্রামের আমির সরকারের ছেলে কৃষক বিপুল মিয়া (২৮) ও বাতুয়াইল গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মনির (২৮)। তারা ওই এলাকার বরবরিয়া হাওরে কাজ করছিলো।

এদিকে মদন উপজেলার পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে হাফেজ মো. শরীফ (১৮) ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে মাওলানা আতাবুর রহমান (১৯) ফতেপুর এলাকার একটি হাওরে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।

এছাড়াও পূর্বধলায় বিকালে বজ্রপাতে যোবায়ের ফকির (১২) নামের এক শিশু মারা গেছে। সে উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের পাটলী গ্রামের ইছহাক ফকিরের ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে যোবায়েরসহ কয়েকজন শিশু বাড়ির পাশে খোলা মাঠে ফুটবল খেলছিলো। এ সময় হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে অন্য শিশুরা দৌঁড়ে বাড়ি চলে যায়। এ সময় শিশু যোবায়ের মাঠের পাশে একটি মাটি কাটার ভেকু মেশিনের নিচে আশ্রয় নেয়। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


ফরিদপুর

ফরিদপুরের মধুখালীর চাঁদপুরে কবির শেখ (৪০) নামে এক কৃষক বজ্রপাতে মারা গেছেন। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার নবীন সেখের ছেলে। মাঠে পাটক্ষেত পরিচর্যার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

সংগৃহীত

 
 
 

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় যমুনা নদীতে ডুবে তিন বোন মারা গেছেন। মঙ্গলবার দুপর ৩টার দিকে সাঘাটা থানা ভবনের অদূরে যমুনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো-রংপুর মহানগরের বাবুপাড়া এলাকার মো. সেলিম উল্যা হকের মেয়ে সারা হক প্রীতি (২০) ও সওদা হক ঋতু (১৮) এবং তাদের মামাতো বোন একই এলাকার মৃত রানা মিয়ার মেয়ে অনামিকা সরোয়ার ওরফে ফাতেমা (১৮)। তারা সবাই কলেজের স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

সাঘাটা থানার ওসি বেলাল হোসেন জানান, তারা গত সোমবার রংপুর থেকে বড় ভাই সাঘাটা উপজেলার উত্তর সাথালিয়া গ্রামের পার্থ মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রীতি, ঋতু ও অনামিকা যমুনা নদী এলাকায় নৌকাযোগে ঘুরতে বের হন। একপর্যায়ে বেলা তিনটার দিকে তারা সাঘাটা থানা ভবনের অদূরে খেয়াঘাট এলাকায় নদীর তীরে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে থাকেন। এসময় হঠাৎ করে তাদের পায়ের নিচের বালি ধসে গিয়ে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা নদীর গভীর খাদে পড়ে তিনবোন নিখোঁজ হয়। পরে নৌকার মাঝির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও অন্য নৌকার মাঝিরা তাদেরকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু পানির গভীরতা বেশী হওয়ায় তারা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।

ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সাঘাটা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত হয়ে তিন বোনকে উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।

সংগৃহীত


 
 
 

মেডিসিন, প্যারামেডিকেল, ফ্যাশন কোর্স বাদে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে থাকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষেও বৃত্তি দেবে আইসিসিআর। এ জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। অনলাইনে আবেদন করা যাবে এ বৃত্তির জন্য। এ বৃত্তির আবেদনের সময় আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পাবেন। তবে মেডিসিন, প্যারামেডিকেল, ফ্যাশন কোর্স বাদে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বৃত্তির জন্য এ আবেদন করা যাবে। ৩০ এপ্রিল আইসিসিআর বৃত্তির জন্য এ আবেদনের শেষ সময় ছিল। করোনার কারণে আবেদন করার সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে।

আইসিসিআর বৃত্তির আবেদন করতে আগ্রহী প্রার্থীদের http://a2ascholarsships.iccr.gov.in লিংকে লগইন করে আইডি ও পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। আবেদনকারীদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

আবেদনের যোগ্যতা কী কী

বিই-বিটেক আবেদনকারী প্রার্থীদের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে পদার্থবিজ্ঞান, গণিত ও রসায়ন থাকতে হবে। ভর্তির পর শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে থাকতে হবে। আবেদনকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থী পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটে আবেদন করতে পারবেন। ইংরেজির দক্ষতা যাচাইয়ে ৫০০ শব্দে ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখতে হবে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা তাঁর টোফেল–আইইএলটিএস স্কোরও ইংরেজির দক্ষতা নির্ধারণে জমা দিতে পারবেন। যদিও এসব কোর্সের জন্য টোফেল-আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের নম্বরপত্র আপলোড করতে হবে। আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইংরেজিতে না থাকলে তা ইংরেজিতে অনুবাদ করে তবেই সাবমিট করতে হবে। অনুবাদ করা কাগজপত্র ছাড়া আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

সংগৃহীত

 
 
 
bottom of page